সন্ধ্যার সবটুকু রেশ হয়নি শেষ তখনও স্বপ্নাবিষ্ট চোখে
গোধূলির আলো-ছায়ায় দিনের ক্লান্তি দৃশ্যমান
ঝড়ো বাতাসের প্রতিরোধহীন বয়ে যাওয়া থামেনি তখনও
পদ্মপাতায় টলটলে জল গড়িয়ে পড়ে সরোবরের
বিস্তৃত জলে মিশে একাকার হচ্ছিলো যখন l
তখন আমিও সাশ্রুনয়নে মেঘের সাথে
দৃষ্টি বিনিময় করছিলাম আর ভাবছিলাম
মেঘের মতোই তুমিও কতদূরে
সে দূরত্বের নিরুত্তর ভাবনাতে
সময়ের কাছে প্রশ্নে নিরুদ্দেশের ভূমিকায় ছিলাম
অনিয়ন্ত্রিত প্রজ্ঞাহীনতায়।
প্রশ্ন করেছিলাম সন্ধ্যার কাছে, আকাশের কাছে
বৈরী বাতাসটাও বাদ পড়েনি
সাড়াহীন আমার অনুসঙ্গীরা
আমার চারপাশ জুড়ে ছিলো
কপালে ছিলো একলা আকাশের নিসঙ্গ একটি তারা
কথা দেওয়া কথাগুলো হয়েছিলো নিষ্ঠুরতার গন্তব্যপথ
আমাকে ব্যবচ্ছেদ করছিলো বহু যুগ ধরে, বহুবার
আকড়ে ধরা হাতগুলো একে একে
দূরে চলে গেছে চিরতরে
আমি নিজেও ছেড়ে এসেছি
কিছু প্রবঞ্চময় হাত
সংজ্ঞাহীন জীবনে সর্বনামহীন
নীলাভ কষ্টে মাঝে মাঝে হৃদয়ে
করছিলো করাঘাত
তোমার ছুঁয়ে দেওয়া স্পর্শগুলো l
আনমনা আমি এক পান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৃষ্টিগোচরে
দিগন্তের আঁধারের কালো রঙের অর্থ খুঁজছিলাম
উত্তর পাবো না জেনেও l