মূল : জালালুদ্দীন রুমী ভাষান্তর : রওশন হাসান প্রিয় হৃদয়, আমরা যখন প্রেমিক হবার পর্যায়ে পড়ি, আমাদের মধ্যে কোন ধৈর্য বিরাজ করে না, এবং কোন অনুশোচনাও কাজ করে না l উভয়েই বিপুল অসঙ্গতি সৃষ্টি করি l অনুশোচনাকে পতঙ্গ হিসেবে দেখো এবং ভালোবাসাকে একটি ড্রাগন হিসেবে l লজ্জার বিষয় হচ্ছে, উভয়ই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার মত l…
এ বছর আমার তিনটি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়
সন্ধ্যা থেকে রাত নামার অনুসঙ্গে
সন্ধ্যার সবটুকু রেশ হয়নি শেষ তখনও স্বপ্নাবিষ্ট চোখে গোধূলির আলো-ছায়ায় দিনের ক্লান্তি দৃশ্যমান ঝড়ো বাতাসের প্রতিরোধহীন বয়ে যাওয়া থামেনি তখনও পদ্মপাতায় টলটলে জল গড়িয়ে পড়ে সরোবরের বিস্তৃত জলে মিশে একাকার হচ্ছিলো যখন l তখন আমিও সাশ্রুনয়নে মেঘের সাথে দৃষ্টি বিনিময় করছিলাম আর ভাবছিলাম মেঘের মতোই তুমিও কতদূরে সে দূরত্বের নিরুত্তর ভাবনাতে সময়ের কাছে প্রশ্নে নিরুদ্দেশের…
চলমান যাত্রীর লিরিক
গোধূলি নামবে একটুপরে ঝিকমিক জলে পড়ে বিদায়ী সূর্যের ছায়া এখনো অন্ধকারে ঢাকেনি দূর্বাঘাস আকাশের পেয়ালা উপচে দিয়ে দিগন্ত পড়েছে ঈষৎ নীল রং শাড়ি আগন্তুক ফেরারী পাখির ডানায় প্রহরের পাশর পলকা পাখায় হারাবে সেওকি এই অবেলায় ? হাওয়ার পরশে কান্নার মৃত্যু ঘটে শুস্ক ঠোঁটে পিপাসা জোট বাঁধে। ক্লান্ত চোখ । অদূরে অন্তরিত দ্বৈবিধ্য উপলব্ধিতে অর্থহীন বায়ক…
বিস্বাদে দহনকালে
এ পান্থপথের উলম্ব ছায়ায় দোলানো বিকেল ঝুলন্ত শাখায় বেদুঈন বিহঙ্গ চোখ কচুপাতায় জমে থাকা বিন্দু জল টলমল জীবনের ফেরায় মোড় অনুভবে কত গভীর, অতল l আকাশের প্রসারিত বাহুতে ভাসমান সূর্য মেঘ কেটে পেয়েছে পথের ঠিকানা একটু পরেই মিলাবে চাঁদের পথ খোঁজার হবে সময় জোৎস্না খুঁড়লেই ক্লেদাক্ত কাহিনী বহমান জীবনের অন্ধকার বিস্বাদে সময়কে যতদূর দেখি সেতো…
গোলাপ ও আসন্ন সন্ধ্যা
আঙিনায় একান্তে ফুটেছে সারি সারি গোলাপ দিনশেষের হাওয়াতে দোল খায় আমার চাহনির খোরাক হয়ে ভাষাহীন কথায় ক্লান্তিহরা ছিমছাম বিকেলে অনুরাগ ছড়ায় l এই মূহুর্তে কে জানে আমি আছি কোথাও না কোথাও সৌরভ হয়ে ফুল যদিও গন্ধহীন, অনন্ত সৌন্দর্যে শূন্য হৃদয়ে, মগ্ন প্রহরে আসেনি কোন বার্তা তোমার l সুদূরে রুদ্ধশ্বাসে স্বপ্নবীজের অংশে লুকায়িত শব্দগুলো আসন্ন সন্ধ্যার…
আমি ও বিহঙ্গ: দুই জীবন
ফেরারী পাখির ঝাঁক সাঁঝের মায়ায় ওড়ে ঘরে ফেরার আমেজে চঞ্চল পাখিদের পথযাত্রী হই আজ নিকুঞ্জে পালকে লিখি বিস্তীর্ণ আকাশের কথা আমি চেয়ে চেয়ে দেখি দূর সীমানায় ঘরে ফেরার তাগিদ না করি অনুভব পাখিদের চোখে দেখি ওড়ার আকাঙ্খা মুক্ত আকাশের কাছে যত বিশ্বাস l ভয় শুধু শিকারীর কাছে অথবা ঝড়-বাতাসে ডানাহীন আমি পাইনা সেই আশ্বাস আরো…
বেগুনী বন্দনা
বেগুনী ফুলের পরাগ নেশায়
প্রতীক্ষার অলিন্দে দেখেছি অঙ্কুরিত
অনন্ত বাসনার নেশাগ্রস্থতা l
আকাশের মুখে রোদ-বৃষ্টির মিলনে সাতরঙ বলিরেখায়
ভাসে মনোহরা রঙধণু
সে ধণু থেকে একটি রঙ করেছি আড়াল
বেগুনী আঁচলে ঢেকেছি আকাশের মোহনীয়তা l
বেগুনী পাখির চঞ্চুতে রেখেছি পালকঝরা প্রণয়
জারুলের বেগুনী নিকুঞ্জে দিন গড়িয়ে এসেছে রাত
জলের প্রতিচ্ছবিতে বেগুনী নগরীর
কাছে চেয়েছি প্রশান্তির বারতা
প্রজাপতির বেগুনী পাখনা ছুঁয়ে বেগুনী করেছি মন
বেগুনী গহনাতে সাজিয়েছি সাজঘর, কন্ঠিকা শৃঙ্গার
শীতার্ত শরীরে জড়িয়েছি বেগুনী মখমল উত্তরীয় বন্ধন l
বেগুনী মুক্তোদানায় বেঁধেছি স্বপ্নকাজল কিচ্ছা
পান করেছি বেগুনী আঙুর অমিয়, বৃষ্টির গ্লাসে
বেগুনী গীতির স্বরলিপিতে দিয়েছি মাছরাঙা ডুব
নয়নতারার বেগুনী নয়ন-পাপড়ির শিশিরের শুচিতায়
লালন করেছি ফেলে আসা অতিতাশ্রয়ী শৈশব সুখস্মৃতি
হাজার বসন্ত হয়েছে গত বাগানের বেগুনী ছায়াতে
শালগম, পুঁইফল, সীমফুল, বেগুনের আঙিনাতে
ললাটে বেগুনী টিপে সঞ্চয় করেছি
বেগুনী চাঁদের বাঁধভাঙা অলোক হাসি
মেঘের মিনারে কিনেছি বেগুনী স্বর্গসুধা
বেগুনী কষ্টগুলো অরণিতে রেখেছি নিজের করে
সমর্পিত আমি বেগুনী তৃষ্ণার অগ্নিলা বাঁশীতে l
ভালোবাসি বলেই
দূরের আকাশটা বড় কাছের মনে হয় মেঘের কোলে সূর্য সপ্তসেতু পেরিয়ে পৃথিবীর মুখে ফোটায় আলোর পরাগায়ন পাখিদের চিরায়ত জেগে ওঠায় প্রতিদিন আসে নির্মল ভোর সে ভোর আরও লাগে ভালো যদি তুমি থাকো পাশে আমার নয়ন নন্দিত শত অভিলাষে l এ সবুজ প্রান্তর, এ খোলা হাওয়া গিরি পর্বতে অটলতায় দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া এ ফুলহার করতলে ছড়িয়ে…
Poetry month April
April is the National Poetry month in USA and its raining …. Let the rain shower this month of poetry In verse, in rhymes Let silver liquid patter at windows Let the rain sing you a lullaby The drops stuck in roadside on your way and let paperboats to float in glee…